লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, ধরলা, রত্মাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলো থেকে বিরামহীন ভাবে লুটে নেওয়া হচ্ছে বালু থেকে শুরু করে নদীর তলদেশের নুড়ি-পাথর পর্যন্ত।
বালু ও তলদেশের নুড়ি পাথর তোলার হিড়িক লাগিয়েছে শাসকদলীয় নামধারী কিছু লোক। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতার প্রকাশ্যেই তাদের কুকর্ম করে চলেছে। স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে নুড়ি পাথর ও বালু লুটেরারা। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে ভূমি ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। দুর্বৃত্তরা বেপরোয়াভাবে নদীর বালু ও নুড়ি পাথর লুটের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। ফলে নির্বিচারে বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ বদল হয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এখন বালু-পাথরের হরিলুট চলছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে নুড়ি পাখর তোলা হচ্ছে। ফলে মারাত্মকভাবে ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। এর ফলে নদীগুলো স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে ফেলছে। এখন নদীগুলো মৃতপ্রায়।
এসবের কারণে পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলের উদাসীনতার এবং প্রশাসনের অবহেলার কারণে নদীগুলো মেরে ফেলে কুচক্রী মহল সব সময় নদীতে বালু, নুড়ি পাথর লুটপাট চালায়। কেউ নদী বাঁচাতে এগিয়ে আসছে না। বালু লুটপাটকারী ও নদী অপদখলকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে মুখে কলুপ এটেছেন। রুখে দাঁড়ানোর কেউ নেই।